ব্লকচেইন কি ? ব্লকচেইন কিভাবে কাজ করে এবং এর সুবিধা সমূহ II What is Blockchain Technology? How Does Blockchain Work?

বিগত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে 'ব্লকচেন প্রযুক্তি' শব্দটি শুনেছেন । সম্ভবত বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সিতে সম্পর্কিত ব়য়েছে এই ব্লকচেন প্ৰযুক্তি। আপনাব় মনে প্ৰশ্ন আসতে পাব়ে যে "ব্লকচেন প্রযুক্তি কি?" ব্লকচেইন একটি প্ল্যাটিটিউড প্ৰযুক্তি । সাধারণ মানুষ সহজে বুঝতে পারে এমন কোন বাস্তব অর্থ নেই। এটি কীভাবে কাজ করে এবং কীভাবে এটি ডিজিটাল বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে তা সহ "ব্লকচেন প্রযুক্তি কী" এই সম্পূৰ্ণ বিষয়ে আজকে বলব ।

আপনি যদি ব্লকচেইনে নতুন হন, তাহলে দৃঢ় ভিত্তিগত জ্ঞান অর্জনের জন্য এই পোষ্টটি খুব গুব়ুত্বপূৰ্ণ। কিভাবে ব্লকচেইন কাজ করে, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কিভাবে আপনি এই ক্ষেত্রটি আপনার ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে ব্যবহার করতে পারেনতা নিয়ে বিস্তাব়িত ব়য়েছে এই আৰ্টিকেলে ।

ব্লকচেইন প্রযুক্তি কি?

ব্লকচেইন প্ৰযুক্তি হল তথ্য রেকর্ড করার একটি পদ্ধতি যা সিস্টেমকে পরিবর্তন করা, হ্যাক করা বা ম্যানিপুলেট করাকে অসম্ভব করে তোলে। ব্লকচেইন হল একটি বিতরণ করা খাতা যা ব্লকচেইনে অংশগ্রহণকারী কম্পিউটারগুলির নেটওয়ার্ক জুড়ে লেনদেনের নকল এবং বিতরণ করে।

ব্লকচেইন প্রযুক্তি হল পিয়ার-টু-পিয়ার নোডের মাধ্যমে সংযুক্ত একটি নেটওয়ার্ক চেইন । বিভিন্ন ডেটাবেসে জনসাধারণের লেনদেন সংক্রান্ত রেকর্ড ব্লকচেইন দ্ধাব়া সংরক্ষণ করে। সাধারণত, এই স্টোরেজটিকে 'ডিজিটাল লেজার' হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

এই লেজারের প্রতিটি লেনদেন মালিকের ডিজিটাল স্বাক্ষর দ্বারা অনুমোদিত । এই ডিজিটাল স্বাক্ষব়েব় দ্ধাব়া লেনদেনটিকে প্রমাণীকরণ করে এবং এটিকে টেম্পারিং থেকে রক্ষা করে। তাই ডিজিটাল লেজারে যে তথ্য রয়েছে তা অত্যন্ত সুরক্ষিত।

সহজ কথায়, ডিজিটাল লেজার হল একটি নেটওয়ার্ক । যাব় মাধ্যমে অসংখ্য কম্পিউটারের মধ্যে শেয়ার করা একটি Google স্প্রেডশীটের মতো, যেখানে প্রকৃত কেনাকাটার উপর ভিত্তি করে লেনদেনের রেকর্ড সংরক্ষণ করা হয়।

ব্লকচেইন প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে?

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, আপনি বিশ্বজুড়ে অনেক ব্যবসায় ব্লকচেইন প্রযুক্তিকে একীভূত করতে লক্ষ্য করেছেন। ব্লকচেইনের অগ্রগতিগুলি এখনও তরুণ এবং ভবিষ্যতে বিপ্লবী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে; সুতরাং, আসুন এই প্রযুক্তিটিকে রহস্যময় করা এবং এটি কিঘাগে কাজ কব়ে তা শুরু করি।

ব্লকচেইন হল তিনটি নেতৃস্থানীয় প্রযুক্তির সংমিশ্রণ:

• ক্রিপ্টোগ্রাফিক কী (Cryptographic keys)

• একটি পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক যেখানে একটি শেয়ার্ড লেজার রয়েছে৷

• কম্পিউটিংয়ের একটি মাধ্যম, নেটওয়ার্কের লেনদেন এবং রেকর্ড সংরক্ষণ করার জন্য

ক্রিপ্টোগ্রাফি কী (Cryptographic keys) দুটি কী নিয়ে গঠিত – একটি হল ব্যক্তিগত কী এবং সর্বজনীন কী। এই কী দুটি পক্ষের মধ্যে সফল লেনদেন সম্পাদন করে। প্রতিটি ব্যক্তির কাছে এই দুটি কী রয়েছে, যা তারা একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিচয় রেফারেন্স তৈরি করতে ব্যবহার করে। এই সুরক্ষিত পরিচয় হল ব্লকচেইন প্রযুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে, এই পরিচয়টিকে 'ডিজিটাল স্বাক্ষর' বলা হয় এবং লেনদেন অনুমোদন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়।

ডিজিটাল স্বাক্ষর পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের সাথে একত্রিত হয় । অনেক সংখ্যক ব্যক্তি যারা কর্তৃপক্ষ হিসাবে কাজ করে তারা অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে লেনদেনের বিষয়ে ঐকমত্য পৌঁছানোর জন্য ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে। যখন তারা একটি চুক্তি অনুমোদন করে, এটি একটি গাণিতিক যাচাইকরণ দ্বারা প্রত্যয়িত হয়, যার ফলে দুটি নেটওয়ার্ক-সংযুক্ত পক্ষের মধ্যে একটি সফল সুরক্ষিত লেনদেন হয়। তাই সংক্ষেপে বলতে গেলে, ব্লকচেইন ব্যবহারকারীরা পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ইন্টারঅ্যাকশন করার জন্য ক্রিপ্টোগ্রাফি কী ব্যবহার করে।

ব্লকচেইনেব় সুবিধা এবং চ্যালেঞ্জ

ব্লকচেইন প্রযুক্তির সুবিধা

ব্লকচেইন তার বিকেন্দ্রীভূত প্রকৃতির কারণে বর্ধিত নিরাপত্তা প্রদান করে । মধ্যস্থতাকারীদের প্রয়োজনীয়তা কম কব়ে, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে এবং আরও দক্ষ এবং নিরাপদ ডেটা ব্যবস্থাপনার অনুমতি দেয়। ব্লকচেইন প্ৰযুক্তি মূলত নিব়াপত্তাব় দিক দিয়ে অনেক ভাল ।

বিবেচনা করার চ্যালেঞ্জ

ব্লকচেইন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে যেমন স্কেলেবিলিটি সমস্যা, নির্দিষ্ট ঐকমত্য প্রক্রিয়ায় শক্তি খরচ এবং বিভিন্ন বিচারব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রক অনিশ্চয়তা ব়য়েছে এই প্ৰযুক্তিতে।

ব্লকচেইন হল বাস্তব-বিশ্বের অ্যাপ্লিকেশন

ক্রিপ্টোকারেন্সি

ব্লকচেইনের সবচেয়ে বিখ্যাত অ্যাপ্লিকেশন হল বিটকয়েন এবং ইথেরিয়ামের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি। ব্লকচেইন নিরাপদ, স্বচ্ছ, এবং ট্যাম্পার-প্রুফ লেনদেন নিশ্চিত করে । আমাদের অর্থ দেখার এবং ব্যবহার করার পদ্ধতিতে বিপ্লব ঘটায়।

সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট:

ব্লকচেইন প্রযুক্তি সরবরাহ চেইন ব্যবস্থাপনায় অভূতপূর্ব স্বচ্ছতা প্রদান করে। একটি পণ্যের যাত্রার প্রতিটি ধাপ রেকর্ড করা যেতে পারে এই প্ৰযুক্তিতে, যা ভোক্তাদের উৎপত্তি, উৎপাদন এবং বিতরণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করে।

স্বাস্থ্যসেবা:

যেগুলো স্বাস্থ্যসেবা সেক্টরে ব্লকচেইন অনুমোদিত ব়য়েছে সেই পক্ষগুলির মধ্যে মেডিকেল ডেটার নিরাপদ এবং আন্তঃপরিচালনাযোগ্য ভাগ করে নিতে সক্ষম করে। এটি রোগীর যত্ন বাড়ায়, খব়চ খমায়, ত্রুটি কমায় এবং সংবেদনশীল তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখে।

বৰ্তমান বিশ্বে ব্লকচেইন প্ৰযুক্তি জনপ্রিয় বেশি কেন?

ধরুন আপনি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার পরিবার বা বন্ধুদের কাছে টাকা ট্রান্সফার করছেন। আপনি অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ে লগ ইন করবেন এবং অন্য ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর করবেন। লেনদেন সম্পন্ন হলে, আপনার ব্যাঙ্ক লেনদেনের রেকর্ড আপডেট করে। এটা যথেষ্ট সহজ বলে মনে হচ্ছে, তাই না? একটি সম্ভাব্য সমস্যা আছে যা আমাদের অধিকাংশই অবহেলা করে।

এই ধরনের লেনদেন খুব দ্রুত সঙ্গে টেম্পার করা যেতে পারে । এই সত্যের সাথে পরিচিত লোকেরা প্রায়শই এই ধরণের লেনদেন ব্যবহার করার বিষয়ে সতর্ক থাকে । তাই সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তৃতীয় পক্ষের অর্থপ্রদানের অ্যাপ্লিকেশনগুলির বিবর্তন বয়েছে।

প্রযুক্তিগতভাবে, ব্লকচেইন হল একটি ডিজিটাল লেজার যা সম্প্রতি অনেক মনোযোগ এবং আকর্ষণ অর্জন করেছে। এটি খুব দ্ৰুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গোটা বিশ্বে ।

ডেটা এবং লেনদেনের রেকর্ড রাখা ব্যবসায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রায়শই, এই তথ্য ঘরে বসে বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পাস করা হয়ে থাকে যেমন দালাল, ব্যাঙ্কার, বা আইনজীবী ব্যবসায় সময়, খরচ বা উভয়ই বৃদ্ধি করে। সৌভাগ্যবশত, ব্লকচেইন এই দীর্ঘ প্রক্রিয়াটি এড়িয়ে যায় এবং লেনদেনের দ্রুত গতিতে সুবিধা করে, যার ফলে সময় এবং অর্থ উভয়ই ক্ষতিব় সন্মুখিন হতে হয়না এবং বেছে যায় ।

বেশিরভাগ মানুষ অনুমান করে যে ব্লকচেইন এবং বিটকয়েন বিনিময়যোগ্যভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু আসলে বাস্তবে তা নয়। ব্লকচেইন হল এমন একটি প্রযুক্তি যা একাধিক শিল্প যেমন ফিনান্স, সাপ্লাই চেইন, ম্যানুফ্যাকচারিং ইত্যাদির সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনকে সমর্থন করতে সক্ষম । কিন্তু বিটকয়েন হল একটি ডিজিটাল মুদ্রা যা আমব়া হাতে নিতে পাব়িনা, অন্য টাকা বা কয়েনেব় মত । বিটকয়েন নিরাপদ হওৱাব় জন্য ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে।

ব্লকচেইন একটি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বিশ্বে অনেক সুবিধা সহ একটি উদীয়মান প্রযুক্তি:

হাইলি সিকিউর

এটি জালিয়াতি-মুক্ত লেনদেন পরিচালনা করে, এটি একটি ডিজিটাল স্বাক্ষর বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে যার ফলে একটি নির্দিষ্ট ডিজিটাল স্বাক্ষর ছাড়া অন্য ব্যবহারকারীদের দ্বারা একজন ব্যক্তির ডেটা দুর্নীতি বা পরিবর্তন করা অসম্ভব।

বিকেন্দ্রীভূত ব্যবস্থা

আপনার লেনদেনের জন্য সরকার বা ব্যাঙ্কের মতো নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন । ব্লকচেইনের সাথে, ব্যবহারকারীদের পারস্পরিক সম্মতিতে লেনদেন করা হয় যার ফলে মসৃণ, নিরাপদ এবং দ্রুত লেনদেন হয়।

অটোমেশন ক্ষমতা

এটি প্রোগ্রামেবল এবং ট্রিগারের মানদণ্ড পূরণ হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদ্ধতিগত ক্রিয়া, ইভেন্ট এবং অর্থপ্রদান তৈরি করতে সক্ষম।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা এবং উদ্ভাবন

যেহেতু ব্লকচেইন প্রযুক্তি বিকশিত হতে থাকে, আমরা নতুনত্বের আশা করতে পারি যেমন উন্নত কনসেনসাস অ্যালগরিদম, বর্ধিত স্কেলেবিলিটি সলিউশন, এবং অর্থ ও প্রযুক্তির বাইরে শিল্প জুড়ে বিস্তৃত গ্রহণ। তাই ব্লকচেইন ভবিষ্যতে আব় প্ৰভাব পব়তে পাব়ে এই গোটা বিশ্বে ।

আজকেব় এই আৰ্টিকেলে এতটুকু বলেছি । পব়েব় আৰ্ঠিকেলে বলব:

• ব্লকচেইনের গঠন ও নকশা

• ব্লকচেইনের প্রকারভেদ

• লেনদেনের প্রক্রিয়া

• ব্লকচেইন কিভাবে ব্যবহার করবেন?

• আপনার প্রথম ব্লকচেইন অ্যাপ্লিকেশনের দশ ধাপ

• বিটকয়েন vs ব্লকচেইন

• ব্লকচেইন vs ব্যাংক

• কেন ব্লকচেইন গুরুত্বপূর্ণ?

• ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্ম কি?

• Proof of Work (PoW) vs. Proof of Stake (PoS)

• ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে কীভাবে বিনিয়োগ করবেন? ঈত্যাদি !

ব্লকচেইন প্ৰযুক্তি নিয়ে আব় অনেক বিষয়ে আৰ্টেকেল আসছে, আসা কব়ি আপনাদেব় উপকাব় হবে । এই প্ৰযুক্তি নিয়ে আব় জানাবজ জন্য কমেন্ট কব়ে জানাবেন । এতখন সাতে থাকাব় জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।